মজনু মিয়া ছিঁচকে চোর। চোর হিসেবে তার সর্বভূক বলে একটা সুনাম আছে। কারণ জুতা-স্যান্ডেল থেকে শুরু করে বিছানাপত্তর, সুযোগমত যাই মেলে, তাই হাপিস করে দেয়ায় তার জুড়ি মেলা ভার। আবার সর্বত্র তার বিচরণও। কোথায় নেই? ভদ্রলোকেদের দালান থেকে শুরু করে এধার ওধারের বস্তিতেও সে হাত গলিয়ে দেয়! কিন্তু আজকাল আর সেই জৌলুশ নেই। কী এক মহামারি এলো! লোকজন সব ঘরে ঘরেই বেশি সময় দেয়! তাই মজনু মিয়া আয়েশ করে হাতসাফাই করতে পারে না! চুরি করতে না পেরে মজনুর মন উচাটন হয়। হাত নিশপিশ করে। পেটে দানাপানির অভাব বোধ শুরু হয়। একদিন মরিয়া হয়ে সে গেলো তার ওস্তাদের কাছে। সব শুনে ওস্তাদ বললো, আরে এ আর এমন কী! এখন আধুনিক পদ্ধতিতে চুরির উপায় বের হইছে। খালি দরকার সঠিক শিক্ষা! মজনু মিয়ার তর সয় না। বলে, কোথায় পাবো সে শিক্ষা? ওস্তাদ সামনে রাখা দিনের পত্রিকা তুলে দেয় হাতে। দাঁত ভাঙতে ভাঙতে কোনোমতে মজনু পড়ে ফেলে, ‘ঢাক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির দায়ে তিন শিক্ষকের পদাবনতি।’ ওস্তাদ মজনুকে বলে, আর দেরি করিস না, ঢাক্সফোর্ডে গিয়ে এই তিনজনকে খুঁজে শিক্ষাগ্রহণ শুরু কর! মজনু আর দেরি করে না। দ্রুত পা চালায়।
২০২১-০১-২৯