।। বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন ।।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার এবং সেতুর পশ্চিমপাশে প্রায় ১৮ কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকেই থেমে থেমে যানবাহন চলছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশ এবং পশ্চিমপাশে মুলিবাড়ি রেলক্রসিং থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।
সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহনকে দীর্ঘসময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। চালকরা গাড়ি নিয়ে মাঝে মধ্যে একটু একটু করে আগাতে পারছেন।
বিআরটিসির বাসচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে বাসটি ছেড়েছি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের করাতিপাড়া এলাকায় এসেছি। এ পর্যন্ত আসতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জে গাড়ি রিসিভ করতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে টাঙ্গাইলের দিক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর ওপর পর্যন্ত গাড়ি আটকে আছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। আর শুক্রবার সকাল থেকে কয়েকগুণ বেশি গাড়ির চাপ পড়েছে।
অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে মুলিবাড়ি রেলক্রসিং থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সেতুর পশ্চিমপাশে মুলিবাড়িতে সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে ৯টা পর্যন্ত যানবাহন আটকে থাকে। সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয় কড্ডার মোড় থেকে নলকা সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই মহাসড়কে যানবাহন আটকা থাকায় দুর্ভোগে পড়েন উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীরা। সাড়ে ১১টার পর কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মুলিবাড়ি থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে যানবাহন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, হঠাৎ করেই একদিকে যানবাহনের চাপ, অন্যদিকে হুড়োহুড়ি করে যাবার সময় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতু ও এরিস্ট্রোক্রেট মোড়ে সরু ইছামতি সেতুর কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি আসছে বলে জানান বগুড়া হাইওয়ে অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।