।। বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন ।।
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্য ও সেবায় বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্য রাখার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই প্রস্তাব করেন। বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে যানজট নিরসনে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, থ্রি হুইলার, অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুলবাস ছাড়া সব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ ও মালিকানা সনদ গ্রহণ ও নবায়নে নিয়মিত চার্জের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন খরচ বাড়বে।
বাজেট বক্তৃতায় চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টারে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া, ৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে আইসক্রিমে। তিনি মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ডের ওপর শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র আমদানিতে মূসক আরোপ করা হয়েছে।
দেশীয় শিল্প রক্ষায় যেসব পণ্যের আমদানি শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে, সেগুলো হলো—অপরিশোধিত চিনি, পরিশোধিত চিনি। প্রাকৃতিক মধুর আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অলিভ ওয়েল আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ওভেন, বিভিন্ন ধরনের কুকার, কুকিং প্লেট, গ্রিলার, রোস্টারের সম্পূরক শুল্ক ০ থেকে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, সান ফ্লাওয়ার তেল, সরিষার তেলের আমদানি পর্যায়ের ওপর মূসক আরোপ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় টিভি ও অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারী জ্যোতিষী ও ঘটকালি সেবার ওপর স্থানীয় পর্যায়ে এবং টেলিকম খাতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন।
এছাড়া, সোনা ও রুপার অলঙ্কার, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, লঞ্চের এসি কেবিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ইনডেনটিং, আসবাবপত্র, পরিবহন ঠিকাদার, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর খরচ বাড়বে। এর বাইরে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সব ধরনের তামাক পণ্য, আমদানি করা গুঁড়ো দুধ, গুঁড়ো মসলা, টমেটো কেচাপ, চাটনি, ফলের জুস, টয়লেট টিস্যু, টিউবলাইট, চশমার ফ্রেম, সিআর কয়েল, জিআই তার, তারকাঁটা, স্ক্রু, ব্লেড, ট্রান্সফরমার, সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, মোবাইল কল, এলপি গ্যাস, চিনি, আমদানি করা পার্টিকাল বোর্ড, আমদানি করা সব ধরনের টায়ার ও স্মার্টফোনের দামও বাড়তে পারে। এছাড়া বাড়তে পারে আমদানি করা মোটরসাইকেলের দামও।