
।। বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন ।।
ভারতকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় পাকিস্তান। গতকাল বুধবার ইসলামাবাদ জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ভারতের বিমানগুলির উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে তারপরও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, না উঠে যাবে তার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। আসলে পাকিস্তানের নজর ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির দিকে। পাকিস্তান প্রশাসন সূত্রে খবর, ভারতের লোকসভা ভোটের ফলাফলের উপর অনেকটা নির্ভর করছে এই সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিণি এয়ারস্ট্রাইক করে৷ তারপরেই পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ভারতের বিমানের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। তবে ২৭ মার্চ সেই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক শিথিল করে পাকিস্তান সরকার। কেবলমাত্র নয়াদিল্লি, ব্যাংকক ও কুয়ালালামপুর ছাড়া সব বিমান ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা ও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ডাক দেন। সেখানে পাকিস্তানের আকাশপথ ভারতের বিমানের জন্য ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনা করা হয়। সেখানে এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি ৩০ মে অবধি বাড়ানো হয়৷
বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের উপর কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার। এর আগে পাকিস্তানের আকাশ ছুঁয়ে কুয়ালালামপুরে চারটি বিমান যেত। ব্যাংকক ও নয়াদিল্লিতে আসত দুটি করে বিমান। এখন পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে না দেওয়ায় এই রুটগুলিতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে ভারতের। তার উপর যাত্রী হারাতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানের আকাশপথ। তাই সেই আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলিকে।