।। বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন ।।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে ভয়াবহ নির্বাচনী সহিংসতায় দুই জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের অনন্তপুর জেলার তাদিপত্রি আসনের বীরাপুরাম গ্রামে দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তেলেগু দেশম পার্টির স্থানীয় নেতা সিদ্দা ভাস্কর রেড্ডি ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির সমর্থকদের হামলায় মিরাপুরামে নিহত হয়েছেন।
এদিন সকাল থেকে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ১৮টি রাজ্যের ৯১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও ভোট হচ্ছে। ভোটার তালিকা থেকে ব্যাপকহারে ভোটারদের নাম মুছে ফেলা, বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন বিজেপির নামে খাবার, টাকা বিতরণ, সংঘর্ষ, বিক্ষোভ এবং ইভিএম আছড়ে ভেঙে ফেলাসহ নানামুখী অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
এ ছাড়া ত্রিপুরায় বিজেপি ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় বিজেপির চার সমর্থক আহত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের গাদচিরলি আসনের একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।
নকশালপন্থীরা ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রে না আসতে ভোটারদের বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছত্তিশড়ের বস্তার কেন্দ্রেও আজ ভোট। এ ভোটের দুদিন আগে মাওবাদীদের হানায় বিজেপি বিধায়কসহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এখানে।
এবার ভারতে মোট সাত দফায় ভোট নেওয়া হবে। এ মাসে আরও তিন দিন ভোট হবে। মে মাসেও তিন দিন ভোট নেওয়া হবে।
এদিকে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে যে ভোট পড়েছে তাতে সকাল ৯টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গেই বেশি ভোট পড়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের প্রায় চার কোটি ভোটার ১৭৫টি বিধানসভা এবং ২৫টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ভোট দেবেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন দেশের প্রায় ৯০ কোটি ভোটার গতবারের থেকে এবার ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। ১৩ কোটি নতুন ভোটার এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
তবে ২০১৪ সালে নতুন ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ভারতীয় ভোটারদের দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ৩৫ বা তার থেকে কম। এবারের নির্বাচনে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব খুবই বেশি।
২০১৪ সালে দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৮২টিতে জিতে সরকার গঠন করে বিজেপি। পরাজিত হয় কংগ্রেস। জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় এবং আয়তনের দিক থেকে সপ্তম ভারতের ভোটে অংশ নিচ্ছে ২ হাজার দল, প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার।
এবার সারা দেশে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি গণনা কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। শুধু ভারতে নয় গোটা বিশ্বের হিসেবে এটা একটি রেকর্ড। মোট ১১ লাখ ইভিএমে নিজেদের মতো ভোট দেবেন ভোটাররা।