অবরুদ্ধ ‍উৎসব

মহামারিকালে তৃতীয় ঈদ ঈদ মানে খুশি; রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখার পর মুসলমানদের জন্য উৎসব হয়ে আসে ঈদুল ফিতর।
কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি গত বছর দুই ঈদ উৎসবেরই রাশ টেনে ধরেছিল। পরিস্থিতি এবারও বদলায়নি। সংক্রমণে মৃত্যুর ঝুঁকি আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিহীনতায় জীবন আর জীবিকা দুই সঙ্কট নিয়েই দিনাতিপাত করতে হচ্ছে মানুষকে। এরমধ্যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় জীবন বাঁচানোকে গুরুত্ব দিয়ে আবার এসেছে লকডাউন; সেই বিধি-নিষেধের খাঁড়ার মধ্যেই এল ঈদ।

ফিচার পড়ুন মহামারি ঘিরে শতবর্ষ আগেও বিজ্ঞাপন-বাণিজ্য ইউরোপে তো ছিলোই, ভারতবর্ষেও মহামারি নিয়ে ব্যবসা কম হয়নি। এমনকি সাদাকালো বিজ্ঞাপনও সমানে পত্রিকার পাতায় দেখা গেছে। এগুলোর কোনো কোনোটি তো রীতিমতো মহামারি নির্মূলের জন্য অপরিহার্য পণ্য বলে দাবি করেছে।
ওষুধ তো আছেই, বাইসাইকেলে চড়লেও নাকি মহামারি থেকে নিরাপদ থাকা যাবে- এমন দাবিও করা হয় সেইসব বিজ্ঞাপনে!
এমনই কিছু বিজ্ঞাপনের কথা জানিয়েছেন তানভীর আহমেদ

ভ্রমণ পড়ুন কার্ডিফে গোটাদিন আমার হাতে সময় ফুরিয়ে আসছে। কার্ডিফ দুর্গের গেট থেকেই ভেতরের স্থাপনার ছবি তুলি। গিলোটিনে হত্যার একটি বেদী খুব নিকটেই। উঁচু প্রাচীরঘেরা দুর্গটির ভেতরে খুব বেশি স্থাপনা নেই। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে রোমানরা যখন ব্রিটেন অধিকার করে কার্ডিফে তাবু গাড়ে, তখন প্রথম দুর্গটি তারাই গড়েছিল। রোমানরা চলে যাবার বহু পরে প্রায় ৬০০ বছর মারকোয়েজ নামের ওয়েলসের একটি ধনী পরিবার এ দুর্গে বহুপ্রজন্ম ধরে বাস করেছে। এ পরিবারের প্রথম পিতা কার্ডিফে প্রথম প্রাইভেট ডক নির্মাণ করেন (পশ্চিম ডক), যা তাদের ভাগ্য খুলে দেয়। সময়ের প্রভাবে এর অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। পাশ দিয়ে নদী বয়ে গেছে, টাফট নদী, সে জলপথ দিয়ে যন্ত্রচালিত বোট চলে, ওরা বলে ওয়াটার ট্যাক্সি। লিখেছেন কামরুল হাসান

পথ পড়ে রয় পথে গত শতকে আরবে মহামারিকালে ঈদ ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু শুরুর একবছরেরও কম সময়ের মধ্যে ইউরোপ ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যে আরব উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ে। এক নিদারুণ মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে দেশে দেশে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেই মহামারির মধ্যেই ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে তাদেরকে। পড়ুন আখ্যান কিছুদূর বাড়িঘর নেই এ পথে। আর একটু গেলে বুড়ির খাদাল। ঝোপঝাড়ের এক দুর্গম জঙ্গল। এখানে শেয়াল থাকে। বাঘডাশ থাকে। বেজি থাকে। সাপখোপের আস্তানা। ফিচার লিখেছেন
আশরাফুল আলম পিনটু পড়ুন

লিখেছেন এম এ কাইউম সম্মোহিত দিনের ভাসানে আখ্যান হেমবর্ণ বিকেল। যেন সালিশ বসেছে। মজলিসে বসেছে বয়স্করা হাঁটু মুড়ে একধারে, অন্যরা পেছনে। মেয়েরা ঢেঁকিঘরে। কেউ একেবারে পেছনে। একটু আড়ালে। মায়েদের আঁচল খুঁটে দাঁড়ায় ন্যাওটা শিশুর দল। খবর পেয়ে নুরীর কাঁধে ভর করে গোলজান বেওয়াও হাজির। ষণ্ডাদের বিহিত চাইতেই বুড়ির আসা। পড়ুন

আসাদ মান্নানের কবিতা মোস্তাক রহমানের কবিতা জুনান নাশিতের কবিতা জাহানারা পারভীনের কবিতা

নুসরাত নুসিনের কবিতা

স্মৃতি পড়ুন আনন্দ পরতে পরতে আজও মধুর বাঁশরী বাজে… ছোটবেলায় আমাদের ঈদের আনন্দ বলতে ওই একটা জিনিসই ছিল। মেলা থেকে চার আনা দিয়ে বাঁশি কিনে সারাপথ ধরে বাজাতে বাজাতে বাড়ি ফেরা।
লিখেছেন আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ স্মৃতি মেহেদি তো দিতে হবেই। কার বাড়িতে মেহেদিগাছ, বিকেল থেকেই তার জোগাড়। বাটাবাটি। ইফতারের পর মেহেদি দেয়া। যত বেশি সময় রাখা যাবে, ততই রঙ হবে গাঢ়। সারা হাতে মেহেদির বুটি নিয়ে বসে থাকার অতো ধৈর্য ছিল না মোটেই। ফলস্বরূপ একটি করে বুটি খানিক পরপরেই উঠিয়ে দেখা কদ্দুর লাল হলো।
লিখেছেন মনিরা রহমান পড়ুন

জোখা আলহার্থির গল্প অনুবাদ প্রতি শুক্রবার নাসির সেচের পানিতে ওজু করে সেদিনের নামাজ পড়ার জন্য। হাতের আস্তিন গুটিয়ে যেন মুহূর্তের মধ্যেই ওজু শেষ করে ফেলে। তবে সেচের পানির ধারা যেন চায় নাসির আরো বেশি সময় ধরে পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখে, বহমান পানির নিচে মাছের পোনা ছোটাছুটি করে, সবুজ রঙের আগাছাগুলো স্রোতে দোল খায়। নাসির আল-আব্দের দৈনন্দিন জীবনে কোনো পরিবর্তন না ঘটলেও তার যে ঘুম কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ভাষান্তর করেছেন হাসিনুল ইসলাম পড়ুন